আজ রবিবার, ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সিদ্ধিরগঞ্জে নিখোঁজের পর স্কুল ছাত্রের গলিত লাশ উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক:

সিদ্ধিরগঞ্জে ২৪ দিন আগে বাসা থেকে বের হয় স্কুল ছাত্র মো. শাফিন (১৪)। এরপর থেকেই সে নিখোঁজ। সম্ভাব্য সব জায়গায় খুঁজেও তার কোনো হদিস মিলেনি। এমনকি নিখোঁজের পরদিন সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় জিডি করেও কোনো ফল মিলেনি। পাওয়া যায়নি স্কুল ছাত্রটিকে। শাফিন সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ি বৃষ্টিধারা আবাসিক এলাকার অ্যাড. জসিম উদ্দিনের বাড়ির ভাড়াটিয়া দোলোয়ার হোসেন ময়নার ছেলে।

এদিকে নিখোঁজের পর বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে কোথায় আর পাওয়া যায়নি ওই স্কুল ছাত্রটিকে। তবে ঘটনার ২৪ দিন পর মঙ্গলবার (২৩ অক্টোবর) তাকে পাওয়া যায় বাড়ির পাশেই। কিন্তু সে জীবত নয়, মৃত।

এদিন বিকেল তিনটার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ বৃষ্টিধারা আবাসিক এলাকায় মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস আলির বাড়ির পাশে ডোবা থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ের একটি অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে। এলাকাবাসীর সংবাদের ভিত্তিতে মরদেহটি উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে পুলিশ। ঘটনার সংবাদে একইদিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে হাসপাতালে ছুটে আসে শাফিনের পিতা দেলোয়ার হোসেন। তিনি মরদেহের পরনের গ্যাঞ্জি আর প্যান্ট দেখে মরদেহটি তাদের হারিয়ে যাওয়া সন্তান শাফিনের বলে নিশ্চিত করেন।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, মঙ্গলবার বিকেলে লাশ উদ্ধারের পর দেখা যায় পুরো লাশটি প্রায় পচে গেছে। লাশের মুখমন্ডল বোঝা যাচ্ছিল না। এমনকি শরীরের বেশির ভাগ মাংস পচে গিয়ে হাড় বের হয়ে গেছে। লাশ উদ্ধারের পর শাফিনের পরিবার পুলিশের সহায়তায় বিভিন্নভাবে লাশ শনাক্ত করার চেষ্টা করে।

এদিকে ছেলের এই মৃত্যু কোনো ভাবেই মেনে নিতে পারছে না শাফিনের পরিবার। এ বিষয়ে শাফিনের বাবা দেলোয়ার হোসেন ময়না জানায়, কারো সাথে আমার কোনো শত্রুতা নেই। কোনো পাওনা দেনাও নেই। আমি ঢাকার আলুবাজারে একটি সেনেটারি দোকানে চাকরি করি। তবে আমার ছেলে একটু দুষ্টু প্রকৃতির ছিলো। কথা শুনতো না। পড়াশোনায় অমনোযোগী ছিলো বিধায় প্রায় ছয় মাস আগে তার স্কুলে পড়া বন্ধ করে দিই। তবে আমি চাই আইন-শৃংখলা বাহিনি সুষ্ঠু তদন্ত করে বের করুক আমার ছেলের মৃত্যুর আসল রহস্য।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুস সাত্তার জানিয়েছেন, লাশটি নিখোঁজ শাফিনের বলে নিশ্চিত করেছে তার পিতা দেলোয়ার হোসেন। আমরা মৃত্যুর কারণ উদঘাটনের চেষ্টা করছি। আর মৃত্যুর কারণ ময়না তদন্তের পর বলা যাবে।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ